ফটোগ্রাফি অনেকেরই শখের বিষয়। তবে এখন অনেকেই শুধু শখের বসে নয়, কাজ করছেন পেশাদার ফটোগ্রাফার হিসেবে। আর এজন্য দরকার একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা।
শুরুর দিকে অনেকেই বাজেট স্বল্পতার কারণে পছন্দের ক্যামেরাটি কিনতে পারেন না। তাই বাজেটের সঙ্গে মিলিয়ে ভালো ছবি তোলা যায় এমন ক্যামেরাই নতুন ফটোগ্রাফারদের পছন্দ। এ রকমই ১০টি ক্যামেরার তথ্য দিচ্ছি আজ।
১. নিকন ডি৩৩০০
___________________________________________________
নিকনের ডি৩৩০০ মডেলের ক্যামেরাটি নতুন ফটোগ্রাফারদের জন্য খুবই ভালো একটি ক্যামেরা। ২৪ দশমিক ২ মেগাপিক্সেলের এই ক্যামে
রা নিকনের অন্যান্য ডিএসএলআর ক্যামেরার মতোই কাজ করে। তবে দাম তুলনামূলকভাবে কম। তবে এর দুর্বলতার মধ্যে রয়েছে এতে কোনো আর্টিকুলেটেড টাচ-স্ক্রিন ডিসপ্লে বা ওয়াই-ফাই সংযোগ নেই।
সেন্সরঃ এপিএস-সি সিএমওএস
মেগাপিক্সেলঃ ২৪ দশমিক ২
লেন্স মাউন্টঃ নিকন ডিএক্স
স্ক্রিনঃ ৩ ইঞ্চি, ৯ লাখ ২১ হাজার ডটস
কন্টিনিউয়াস শুটিং স্পিডঃ ৫এফপিএস
সর্বোচ্চ ভিডিও রেজ্যুলেশনঃ ১০৮০ পিক্সেলস
দামঃ ৩৩৯ ডলার থেকে শুরু
২. ক্যানন ইওএস ৭৫০ডি (রেবেল টি৬আই)
___________________________________________________
উচ্চমাত্রার আইএসও সেন্সিটিভিটির জন্য দারুণ ঝকঝকে ছবি তোলা যায় এই ক্যামেরা দিয়ে। এর মেগাপিক্সেল ২৪ দশমিক ২। ক্যানন ৭৫০ডি মডেলের ক্যামেরাটিতে রয়েছে উন্নতমানের অটোফোকাস এবং এক্সপোজার মিটারিং সিস্টেম। আরো আছে বিল্ট-ইন ওয়াই-ফাই ও এনএফসি।
সেন্সরঃ এপিএস-সি সিএমওএস
মেগাপিক্সেলঃ ২৪ দশমিক ২
লেন্স অ্যামাউন্টঃ ক্যানন ইএফ-এস
স্ক্রিনঃ ৩ ইঞ্চি আর্টিকুলেটিং টাচ-স্ক্রিন, ১০ লাখ ৪০ হাজার ডটস
কন্টিনিউয়াস শুটিং স্পিডঃ ৫এফপিএস
সর্বোচ্চ ভিডিও রেজ্যুলেশনঃ ১০৮০ পিক্সেল
দামঃ ৫৬৪ ডলার থেকে শুরু
৩. নিকন ডি৫৫০০
___________________________________________________
ক্যাননের ৭৫০ডি মডেলের ক্যামেরার সঙ্গে নিকন ডি৫৫০০ ক্যামেরার তুলনা চলে। নিকনের ডি৩০০০ সিরিজের ক্যামেরাগুলো তৈরি করা হয়েছিল নতুন ফটোগ্রাফারদের হাতে কম দামে ডিএসএলআর ক্যামেরা তুলে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে। এতে রয়েছে টাচস্ক্রিন কন্ট্রোল, বিল্ট-ইন ওয়াই-ফাই। এর মেগাপিক্সেল ২৪ দশমিক ২।
সেন্সরঃ এপিএস-সি সিএমওএস
মেগাপিক্সেলঃ ২৪ দশমিক ২
লেন্স অ্যামাউন্টঃ নিকন ডিএক্স
স্ক্রিনঃ ৩ দশমিক ২ ইঞ্চি আর্টিকুলেটিং টাচ-স্ক্রিন, ১০ লাখ ৪০ হাজার ডটস
কন্টিনিউয়াস শুটিং স্পিডঃ ৫এফপিএস
সর্বোচ্চ ভিডিও রেজ্যুলেশনঃ ১০৮০ পিক্সেল
দামঃ ৬৩৯ ডলার থেকে শুরু
৪. ক্যানন ইওএস ৭৬০ডি (রেবেল টি৬এস)
___________________________________________________
ক্যানন এর ইওএস ৭০০ডি ক্যামেরার পরবর্তী দুটি সংস্করণ হচ্ছে ইওএস ৭৫০ডি এবং ইওএস ৭৬০ডি। ক্যামেরা দুটোর কারিগরী দিক কাছাকাছি হলেও ইওএস ৭০০ডি এর তুলনায় এই ক্যামেরা দুটির ভিন্নতা রয়েছে বাহ্যিক দিক থেকে। ক্যামেরার বডিতে রয়েছে থাম্বহুইল ও টপ প্লেট এলসিডি ডিসপ্লে। এ ধরনের ফিচারগুলো ক্যাননের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরাগুলোতেই পাওয়া যায়। ওজনেও ইওএস ৭৫০ডি ক্যামেরাটি তুলনামূলকভাবে হালকা।
সেন্সরঃ এপিএস-সি সিএমওএস
মেগাপিক্সেলঃ ২৪ দশমিক ২
লেন্স অ্যামাউন্টঃ ক্যানন ইএফ-এস
স্ক্রিনঃ ৩ ইঞ্চি আর্টিকুলেটিং টাচ-স্ক্রিন, ১০ লাখ ৪০ হাজার ডটস
কন্টিনিউয়াস শুটিং স্পিডঃ ৫ এফপিএস
সর্বোচ্চ ভিডিও রেজ্যুলেশনঃ ১০৮০ পিক্সেল
দামঃ ৬৪৯ ডলার থেকে শুরু
৫. নিকন ডি৫৩০০
___________________________________________________
নিকনের ডি৫৩০০ ক্যামেরায় ২৪ দশমিক ২ মেগাপিক্সেলের সেন্সর সাথে রয়েছে আইডেন্টিকাল মেক্সিমাম আইএসও ২৫৬০০ সেন্সিটিভিটি। এই ক্যামেরার টাচস্ক্রিন খুব একটা সুবিধার না হলেও এতে আছে জিপিএস।
সেন্সরঃ এপিএস-সি সিএমওএস
মেগাপিক্সেলঃ ২৪ দশমিক ২
লেন্স মাউন্টঃ নিকন ডিএক্স
স্ক্রিনঃ ৩ দশমিক ২ ইঞ্চি আর্টিকুলেটিং, ১০ লাখ ৩৭ হাজার ডটস
কন্টিনিউয়াস শুটিং স্পিডঃ ৫ এফপিএস
সর্বোচ্চ ভিডিও রেজ্যুলেশনঃ ১০৮০ পিক্সেল
দামঃ ৫১০ ডলার থেকে শুরু
৬. ক্যানন ইওএস ৭০০ডি (রেবেলটি৫আই)
___________________________________________________
২০১০ সালে প্রথম বাজারে ছাড়া হয়েছিল এই ক্যামেরা। তবে এখনো ফটোগ্রাফি শেখার জন্য প্রাথমিকভাবে এটি খুবই ভালো ক্যামেরা। এতে রয়েছে নাইন-পয়েন্ট অটোফোকাস সিস্টেম ও ওয়াই-ফাই কানেক্টিভিটি।
সেন্সরঃ এপিএস-সি সিএমওএস
মেগাপিক্সেলঃ ১৮
লেন্স মাউন্টঃ ক্যানন ইএফ-এস
স্ক্রিনঃ ৩ ইঞ্চি আর্টিকুলেটিং টাচস্ক্রিন, ১০ লাখ ৪০ হাজার ডটস
কন্টিনিউয়াস শুটিং স্পিডঃ ৫ এফপিএস
সর্বোচ্চ ভিডিও রেজ্যুলেশনঃ ১০৮০ পিক্সেল
দামঃ ৪৯৭ ডলার থেকে শুরু
৭. ক্যানন ইওএস ১০০ডি (রেবেল এসএল১)
___________________________________________________
২০১৩ সালের মার্চে এই ক্যামেরা যখন বাজারে ছাড়া হয় তখন এটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ডিএসএলআর ক্যামেরা। এতে আছে ১৮ মেগাপিক্সেলের এপিএস-সি ফরম্যাট সেন্সর। ৩ ইঞ্চি টাচ সেন্সিটিভ স্ক্রিন।
সেন্সরঃ এপিএস-সি সিএমওএস
মেগাপিক্সেলঃ ১৮
লেন্স মাউন্টঃ ক্যানন ইএফ-এস
স্ক্রিনঃ ৩ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন, ১০ লাখ ৪০ হাজার ডটস
কন্টিনিউয়াস শুটিং স্পিডঃ ৪ এফপিএস
সর্বোচ্চ ভিডিও রেজ্যুলেশনঃ ১০৮০ পিক্সেল
দামঃ ৩৭১ ডলার থেকে শুরু
৮. ক্যানন ইওএস ১৩০০ডি (রেবেল টি৬)
___________________________________________________
১২০০ডি এর মতোই সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে ১৩০০ডি ক্যামেরাটিতে। শখের বসে বা ছবি তোলা শেখার জন্য ভালো ক্যামেরা এটি। এতে রয়েছে বিল্ট-ইন ওয়াই-ফাই ও এনএফসি টেকনোলজি। এতে রয়েছে ৩ ইঞ্চি স্ক্রিন।
সেন্সরঃ এপিএস-সি সিএমওএস
মেগাপিক্সেলঃ ১৮
লেন্স অ্যামাউন্টঃ ক্যানন ইএফ-এস
স্ক্রিনঃ ৩ ইঞ্চি, ৯ লাখ ২০ হাজার ডটস
কন্টিনিউয়াস শুটিং স্পিডঃ ৩ এফপিএস
সর্বোচ্চ ভিডিও রেজ্যুলেশনঃ ১০৮০ পিক্সেল
দামঃ ৩৯৮ ডলার থেকে শুরু
৯. ক্যানন ইওএস ১২০০ডি (রেবেল টি৫)
___________________________________________________
ক্যাননের ১৩০০ডি ও ১২০০ডি ক্যামেরা প্রায় একই ধরনের। এতে রয়েছে ১৮ মেগাপিক্সেলের সেন্সর। আরো আছে ৩ এফপিএস কন্টিনিউয়াস শুটিং স্পিড।
সেন্সরঃ এপিএস-সি সিএমওএস
মেগাপিক্সেলঃ ১৮
লেন্স অ্যামাউন্টঃ ক্যানন ইএফ-এস
স্ক্রিনঃ ৩ ইঞ্চি, ৪ লাখ ৬০ হাজার ডটস
কন্টিনিউয়াস শুটিং স্পিডঃ ৩ এফপিএস
সর্বোচ্চ ভিডিও রেজ্যুলেশনঃ ১০৮০ পিক্সেল
দামঃ ৩২৪ ডলার থেকে শুরু
১০. পেনট্যাক্স কে-৫০
___________________________________________________
কম দামে ভালো ডিএসএলআর ক্যামেরা নিয়ে আসার জন্য সুনাম রয়েছে পেনট্যাক্সের। পেনট্যাক্সের কে-৫০ ও তেমন ক্যামেরা। যেকোনো আলোতে ছবি তোলার জন্য বেশ ভালো এই ক্যামেরা। এই ক্যামেরার লেন্সগুলো ওয়েদার রেজিসটেন্ট (ডব্লিউআর) প্রযুক্তিতে তৈরি। তবে সব ধরনের লেন্স এই ক্যামেরায় ব্যবহার করা যায় না।
সেন্সরঃ এপিএস-সি সিএমওএস
মেগাপিক্সেলঃ ১৬ দশমিক ৩
লেন্স অ্যামাউন্টঃ পেনটাক্স কে
স্ক্রিনঃ ৩ ইঞ্চি, ৯ লাখ ২১ হাজার ডটস
কন্টিনিউয়াস শুটিং স্পিডঃ ৬ এফপিএস
সর্বোচ্চ ভিডিও রেজ্যুলেশনঃ ১০৮০ পিক্সেল
দামঃ ৪৩২ ডলার থেকে শুরু