কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে দুই মাথাবিশিষ্ট একটি ছেলে শিশুর জন্ম হয়েছে।
গত ১৪ অক্টোবর শুক্রবার রাতে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে শিশুটির জন্ম হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা থানার সীমানার পাড় গ্রামের ওমান প্রবাসী সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে (২৪) দেবিদ্বার সেবা হসপিটালে ভর্তি করা হয়। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে দুটি শিশুর কথা উল্লেখ থাকলেও রাতে সিজার করার পর দুই মাথা বিশিষ্ট একটি শিশুর জন্ম হয়। এসময় ডাক্তাররা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শিশুটিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।
স্বজনরা জানান, শুক্রবার সকালে তার হালকা ব্যথা উঠলে পরিবারের লোকজন তাকে গাইনি বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা: মির্জা মোঃ আসাদুজ্জামন রতনের চেম্বারে নিয়ে আসেন। তিনি রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। রাতে তিনি রোগীর সিজার করলে একটি জোড়া মাথার ছেলে সন্তানের জন্ম দেন মরিয়ম।
এ ব্যাপারে ডা. মির্জা মো. আসাদুজ্জামন রতন জানান, মা ও নবজাতক সন্তান সুস্থ আছে। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিশুটি ক্রেনিওপেগাস (প্যারাসাইটিকাস) রোগে আক্রান্ত হয়ে জন্ম নিয়েছে।
এদিকে দুই মাথাবিশিষ্ট নবজাতকের পরিবার শিশুটির চিকিৎসা নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছে।
দেবিদ্বার সেবা হাসপাতালের পরিচালক মামুন জানান, শনিবার সকালে ওই নবজাতককে ঢাকা মেডিক্যালের শিশু সার্জারিতে ভর্তি করানোর জন্য পাঠানো হয়েছে। এ রোগটি এক কোটি জন্ম নেয়া শিশুর মধ্যে গড়ে ৪-৬ জনের হতে পারে। এ পর্যন্ত বিশ্বে ১০টি শিশু জোড়া মাথা নিয়ে জন্ম নেয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এতেই বেশির ভাগ শিশুই মৃত অবস্থায় জন্ম নেয় অথবা জন্ম নেয়ার কিছু সময় পর মারা যায়।