প্রতিটি বাল্যবিবাহের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কেন দায়ী হবেন না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত এ রুল জারি করেন।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড মেম্বার, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার ক্ষেত্রে মেয়র ও কাউন্সিল কেন দায়ী থাকবেন না এবং এ ধরনের বাল্যবিবাহ সংঘটিত হলে তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও পদচ্যুতির নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জনপ্রশাসন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, সমাজকল্যাণ সচিব, নারী ও শিশু বিষয়ক সচিবকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এই আদেশের অনুলিপি সব জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিরা বাল্যবিবাহ বন্ধে ভূমিকা রাখবেন না, তা হতে পারে না। প্রতিটি বাড়িতে কার হাড়িতে কী রান্না হচ্ছে, এটা জনপ্রতিনিধিরা ভালো করে জানেন। জনপ্রতিনিধিদের নিজ নিজ এলাকার এ ধরনের বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটলে তারা দায়ী হবেন। জনপ্রতিনিধি হবেন, দায়িত্ব নেবেন না, তা হবে না।’
গত ২৮ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘২৪ ঘণ্টায় ৮ বাল্যবিবাহ বন্ধ’ শীর্ষক প্রতিবেদন নজরে নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।