মানিকগঞ্জে বৃষ্টি আক্তার (১৪) নামের এক কিশোরীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় কথিত ফকির আবুল হোসেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে স্বজনরা দাবি করেছেন।
আজ রোববার দুপুর ১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে জেলার হরিরামপুর উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের সরফদিনগর গ্রামে।
সরফদিনগর গ্রামের দিনমজুর রমজান আলীর তিন সন্তানের মধ্যে বৃষ্টি সবার বড়। সে লেখাপড়া করে না। একই গ্রামের বাসিন্দা কথিত ফকির আবুল হোসেন (৪৫)। তিনি বিবাহিত ও তিন সন্তানের জনক। তাঁর বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে। তারপরও তিনি বৃষ্টিকে বিয়ে করতে চাইতেন। কিন্তু বৃষ্টি এতে রাজি ছিল না। এ নিয়ে আবুল হোসেন প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত বৃষ্টিকে। এ নিয়ে মাস তিনেক আগে গ্রামে বিচার-সালিসও হয়। তখন আবুল হোসেনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়।
বৃষ্টির মা আকলিমা বেগম জানান, আজ দুপুরে তিনি ও তাঁর স্বামী রমজান আলী কাজে বাইরে ছিলেন। বাড়িতে একা ছিল বৃষ্টি। এই সুযোগে আবুল হোসেন বাড়িতে ঢুকে বৃষ্টির শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। বাধা দিলে বৃষ্টির গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন আবুল হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আকলিমা বেগম জানান, গলায় আঘাত নিয়েই বৃষ্টি ঘর থেকে দৌড়ে বের হয়ে আসে। কিছুদূর যাওয়ার পর সে রাস্তায় পড়ে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
অপর দিকে আবুল হোসেন দৌড়ে পালিয়ে যান।
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ওসি আরো বলেন, আবুল হোসেন একজন ভণ্ড ফকির। ফকিরের নাম ভাঙিয়ে তিনি বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিলেন। বৃষ্টির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।