কোন কোন রোগ ধূমপানের ফলে আরও খারাপ দিকে যায় এবং ধূমপানের কারণে কি কি রোগ হয়?
• ফুসফুসের ক্যান্সার – ১০ টি কেসের মধ্যে ৮ টিতেই দেখা যায় ধূমপানের কারণে ক্যান্সার হয়েছে।
• ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি রোগ – ১০ টি কেসের মধ্যে ৮ টিতেই দেখা যায় ধূমপানের সাথে এর সরাসরি সম্পর্ক আছে। যারা এই রোগে মারা যান তারা বেশ কয়েক বছর ধরে এতে ভুগে থাকেন।
• হৃদরোগ – পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী মৃত্যু হয় হৃদরোগের কারণে। আর এর ৬টি কেসের ১টিতে ধূমপান সরাসরিভাবে দায়ী।
• অন্যান্য ক্যান্সার – মুখের, নাকের, গলার, স্বরযন্ত্র, খাদ্যনালী (অন্ননালী), অগ্ন্যাশয়, মূত্রাশয়, গর্ভ (জরায়ুর), রক্ত (লিউকেমিয়া) এবং কিডনির ক্যান্সার ধূমপায়ীদের মধ্যে সাধারণ।
• রক্ত চলাচল – তামাকের রাসায়নিক পদার্থগুলো রক্তনালীর পর্দা নষ্ট করে দেয় এবং রক্ত চলাচলের সময় লিপিড বা চর্বির মাত্রার ওপরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এটা এথেরোমারঝুঁকি বাড়ায়, যা হলো ধমনীর শক্ত হয়ে যাওয়া। এটা হৃদরোগ, স্ট্রোক, পায়ে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া, আর ধমনীর ফুলে যাওয়া ও ধমনী ফেটে রক্ত বের হওয়া বা এনিউরিজমের জন্য প্রধান ভাবে দায়ী। এইসব রোগ যে কোনো ধূমপায়ীদের জন্য সবচেয়ে পরিচিত।
• রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস – এর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় ধূমপান বহুগুণে। গবেষণায় দেখা যায় যে পূর্ণবয়স্কদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত ৫ জনের মধ্যে ১ জনের রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের কারণ ধূমপান।
• বুড়ো হয়ে যাওয়া – ধূমপায়ীয়ে মুখে বয়সের আগেই বলিরেখা এবং বয়সের ছাপ দেখা যায়। তাই ধূমপায়ীদের অন্যদের চেয়ে বেশী বয়স্ক মনে হয়।
• শারীরিক সক্ষমতা – মহিলা এবং পুরুষ দুজনের মধ্যে ধূমপানের ফলে অনুর্বরতা দেখা দেয় বা শারীরিক সক্ষমতা কমে যায়।
• মেনোপজ বা রজঃবন্ধ – ধূমপায়ী মহিলাদের মেনোপজ সময়ের অন্তত দুই বছর আগে হয় বলে ডাক্তারেরা জানান।
• আর যেসব রোগের অবস্থা ধূমপানের ফলে আরও খারাপ হয় –
– শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা
– ঠাণ্ডা
– ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা
– বুকের ইনফেকশন
– যক্ষ্মা বা ফুসফুসের ইনফেকশন
– ক্রনিক রাইনিটিস বা দীর্ঘমেয়াদি নাকের ইনফেকশন
– ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি বা ডায়াবেটিসের ফলে চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়া
– হাইপোথাইরয়েডিজম বা অতিরিক্ত সক্ষম থাইরয়েড
– মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস বা মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডে সমস্যা
– অপটিক নিউরাইটিস বা চোখের স্নায়ুতে প্রদাহ
– ক্রোনস ডিজিজ বা অন্ত্রে প্রদাহ
• ধূমপানের ফলে আরও যেসব সমস্যার সৃষ্টি হয়
– ডিমেনশিয়া
– অপটিক নিউরোপ্যাথি – চোখের স্নায়ু নষ্ট হয়ে যাওয়া
– চোখে ছানি
– মাকুলার ডিজেনারেশন বা চোখের পিছনের টিস্যু ক্ষয়ে যাওয়া
– পালমোনারি ফাইব্রোসিস
– সোরিয়াসিস নামক ত্বকের সমস্যা
– মাড়িতে রোগ
– দাঁত পড়ে যাওয়া
– অস্টিপোরোসিস বা হাড় ক্ষয়ে যাওয়া
– রেনডস ফেনোমেনন – ঠাণ্ডায় আঙ্গুল জমে সাদা বা নীল হয়ে যাওয়া