রাশিয়ান যুবক বোরিস্কা কিপ্রিয়ানোভিচের বয়স মাত্র ২০। এই বয়সে বহির্বিশ্বের নাড়িনক্ষত্র নখদর্পনে তার।
হবে নাই বা কেন? তার দাবি অনুযায়ী সে পৃথিবীতে জন্মের আগে মঙ্গলের বাসিন্দা ছিল। মৃত্যুর পরে পুনর্জন্মে পৃথিবীতে জন্মেছে। তবে তার কথায় সারবত্তা কতটা রয়েছে তা যাচাই করার পালা বিজ্ঞানীদের। তবে বোরিস্কার বাবা মায়ের কথা, ছোট থেকেই অন্যরকম তাদের ছেলে। একেবারে অল্প বয়সে হাঁটতে বা কয়েকমাসেই কথা বলতে শিখে গিয়েছে সে।
এলিয়েন সভ্যতা
বাবা মায়ের দাবি বহির্বিশ্বের প্রাণ বা এলিয়েনদের নিয়ে অনর্গল কথা বলে যেতে পারে ছেলে। তাদের সম্পর্কে সে সবকিছু জানে। যে বিষয় সম্পর্কে তাকে বলা হয়নি, সেই বিষয়েও বোরিস্কা আলোচনা করতে পারে। এলিয়েনদের সভ্যতা নিয়ে বোরিস্কা অনেক কিছু বলে বলে দাবি বাবা-মায়ের।
ছোট থেকেই আলাদা বোরিস্কা
মাত্র দুই বছর বয়স থেকে লিখতে, পড়তে ও ছবি আঁকতে পারে। তার মা পেশায় চিকিৎসক। তিনি জানাচ্ছেন, ছেলে যে স্পেশাল তা তিনি জন্মের কয়েক সপ্তাহ পরই বুঝতে পারেন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নিজে মাথা তুলে ফেলেছিল বোরিস্কা।
মঙ্গলে পরমাণু যুদ্ধ
এদিকে বোরিস্কা জানাচ্ছে, যুদ্ধ বিধ্বস্ত মঙ্গলে সে অনেক বছর আগে জন্মেছিল। অতীতে সেখানে পরমাণু হামলা হয়। যার জেরে বিনাশ নেমে আসে মঙ্গলে। মঙ্গলের অধিবাসীরা উচ্চতায় সাত ফুট লম্বা হয়। তারা থাকে মাটির নিচে ও গ্রহণ করে কার্বন-ডাই-অক্সাইড।
মঙ্গলের মানুষ অমর
এখানেই শেষ নয়, বোরিস্কা জানাচ্ছে মঙ্গলের মানুষের মৃত্যু নেই। ৩৫ বছরের পর তাদের বয়স থেকে যায়। পৃথিবীর মানুষের চেয়ে মঙ্গলের অধিবাসীরা প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে। চাইলে তারা নিজে থেকেই মহাকাশে ঘুরে বেড়াতে পারে।
পুনর্জন্মে পৃথিবীতে বোরিস্কা
বোরিস্কা রাশিয়ার ভগলোগ্রাদের বাসিন্দা। মঙ্গলের পর সে পৃথিবীতে পুনর্জন্ম নিয়েছে বলে দাবি করেছে। বলা ভালো, গত কয়েকবছর ধরেই এমন নানা তথ্য সে সামনে আনছে। এখন দেখার বিজ্ঞানীমহল আদৌও এই বক্তব্যের সত্যাসত্য যাচাই করে কিনা।
https://www.youtube.com/watch?v=y7Xcn436tyI