দক্ষিণ বনশ্রীতে জাকির নামের এক যুবক ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় জাকির রাস্তায় পড়ে ছিলেন। পথচারীরা ধরাধরি করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ছুরিকাহত জাকিরকে যারা হাসপাতালে নিয়ে আসেন,তাদের একজন হচ্ছে রহিমা আক্তার। তিনি বলেন, তিনি দক্ষিণ বনশ্রীর ই ব্লকে এক তরুণকে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। ওই তরুণকে ঘিরে অনেকে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁরা একটি এম্বুল্যান্সকে দাঁড় করান। কিন্তু টাকা ছাড়া এম্বুল্যান্সটি যেতে রাজি হচ্ছিল না। পরে তিনি দায়িত্ব নিয়ে ওই তরুণকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাওসপাতাল নিয়ে যান। এম্বুল্যান্স এ উঠে ওই যুবক শুধু ‘পানি খাব’এটুকুই বলেছেন। তিনি সারাক্ষণই ছটফট করছিলেন। তার বুকের ডান পাশ থেকে রক্ত ঝরছিল।
জাকিরের স্ত্রী সোমা হাসপাতালে এসে স্বামীর লাশ শনাক্ত করেন। জাকিরের বড় ভাই জয়নাল বলেন জাকির আগে একটি ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। পরে গোড়ান ৮নং গলির শেষ মাথার অটো,সিএনজি স্ট্যান্ডের তত্ত্বাবধায়কের কাজ নিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে একটি পক্ষের ঝগড়াঝাঁটি হয়েছিল। সে সময় একবার আহত হয়ে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।তবে পরে দুই পক্ষের মধ্যে মিটমাট হয়ে যায়। কারা কেন তাঁর ভাইকে হত্যা করল বুঝতে পারতছেন না।
অপরদিকে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন জাকির ও তাঁর সাথে আরও দুজন মিলে সেক্সি হৃদয় নামক এক ছেলেকে দক্ষিণ বনশ্রীস্থ কফি এক্সপ্রেস রেস্টুরেন্ট এর সামনে মারধোর করতে থাকে। এসময় হৃদয় বেশ কয়েকবার বলে আমার কোন দোষ নেই। তবুও জাকির ও তাঁর সহযোগী দুজন তাকে মারধোর করতে থাকে। এমতাবস্থায় সেক্সি হৃদয় তাঁর পকেট থেকে একটি সুইস গিয়ার বের করে জাকিরকে আঘাত করে ঐ স্থান ত্যাগ করে।
জাকির ও তাঁর সহযোগী দুজন এবং সেক্সি হৃদয় এরা সকলেই দক্ষিণ বনশ্রীর বহিরাগত বলে জানা যায়।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। তবে ঘটনাস্থল থেকে সিফাত হাসান রোমিও নামক একজনকে জিজ্ঞাসাবেদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।