সামান্য সাইকেলের ধাক্কাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় শত্রুতা, আর এরই জেরে খুন হন রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের এটিএম বুথের নিরাপত্তা কর্মী শেখ তহিদুল ইসলাম।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার রাসেল শেখ র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়নের (র্যাব-১) কাছে এমনটিই জানিয়েছেন।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা সাংবাদিকদের জানান র্যাব-১এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর মনজুর মেহেদী ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এক বছর আগে বাগেরহাটের পিসি কলেজের পাশের নদীতে নৌকা বাইচ খেলা দেখতে যান রাসেল। যাওয়ার পথে তার সাইকেলের সঙ্গে ইস্টার্ন ব্যাংকের (ইবিএল) এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী শেখ তহিদুল ইসলামের ধাক্কা লাগে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তহিদুল তার বন্ধুদের নিয়ে রাসেলকে মারধর করেন।
রাসেলও ঢাকায় থাকেন এবং আইকন ফর সিকিউরিটি সার্ভিস নামের একটি প্রতিষ্ঠানে পোস্টারিং এর কাজ করতেন। কিছুদিন আগে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকায় পোস্টারিং এর কাজ করতে গিয়ে রাসেল একটি এটিএম বুথের ভেতরে তহিদুলকে দেখতে পান। তিনি সেখানে গিয়ে তহিদুলের সঙ্গে কথা বলেন। এক পর্যায়ে পুরনো ঘটনা নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এসময় রাসেল বুথের পাশে থাকা একটি ধারালো ছুরি দিয়ে তহিদুলের গলায় আঘাত করেন। এতে তহিদুল মাটিতে পড়ে গেলে তাঁকে গলা কেটে হত্যা করেন রাসেল।
মেজর মনজুর মেহেদী ইসলাম জানান, এরপর বুথের লাইট বন্ধ করে ছুরিটি পাশের একটি ড্রেনে ফেলে দেন রাসেল। পরে শাহাজাদপুরে নিজের কর্মস্থলে গিয়ে পোশাক পালটে খুলনার উদ্দেশ্য রওনা হয়ে যান তিনি।
লোকেশন ট্রাকিং ব্যবস্থার সাহায্য নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাসেল শেখকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
রাসেল আরো জানিয়েছেন, তাহিদুল গত ১মে থেকে ‘গ্লোব সিকিউরিটি সার্ভিস’ নামে একটি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের অধীনে ওই এটিএম বুথে নিরাপত্তাকর্মীর কাজ শুরু করেন। এদিকে, এপ্রিল মাস থেকে রাসেলও গ্লোব সিকিউরিটি সার্ভিসে কর্মরত ছিলেন। তাহিদুল কাজ শুরু করার পরে ৯ মে গ্লোব সিকিউরিটি সার্ভিসের কাজ ছেড়ে দিয়ে রাসেল আইকন ফর সিকিউরিটি সার্ভিসে রিক্রুটিং এজেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন।