সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতি সহিংসতা, ধ্বংসযজ্ঞ এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার কারণে বিশ্ব ব্যাঙ্ক মিয়ানমারে ২০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা স্থগিত করেছে। বুধবার এ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়।
মিয়ানমার গণতন্ত্রে ফেরার পর এটিই ছিল দেশটির সরকারের সাথে বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রথম সরাসরি আর্থিক সহায়তা।
বিবৃতিতে বিশ্বব্যাংক জানায়, ‘সম্প্রতি মিয়ানমারের জন্য অনুমোদিত উন্নয়ন সংক্রান্ত ঋণের সবশেষ পরিস্থিতি আমরা বিশ্লেষণ করে দেখেছি। সার্বিক বিচারে আমাদের মনে হয়েছে, ওই ঋণের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিতে সেখানকার পরিস্থিতির আরও উন্নতি হওয়া দরকার।’
২৫ আগস্ট সহিংসতার পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর নিধনযজ্ঞ শুরু করে দেশটির সামরিক বাহিনী। সেনাবাহিনীর হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। তাদের কাছ থেকে জানা যায় সরকারি বাহিনীর নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র। যারা পালিয়ে আসতে পারেনি তারাও রয়েছেন ভয়াবহ দুর্দশায়। রাখাইনে কোনও আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাকেও প্রবেশ করতে দিচ্ছে না মিয়ানমার সরকার। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম উঠে আসছে সেই মানবিক বিপর্যয়ের গল্প।
বিশ্বব্যাংকের সেই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বৈষম্যহীনতা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং সবার জন্য অর্থনৈতিক সুযোগের মৌলিক নীতির জন্য একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে, আমরা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সহিংসতা, রাখাইনের ধ্বংসযজ্ঞ এবং তাদের উচ্ছেদ নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘ এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বিশ্বব্যাংক। মিয়ানমার সরকারকে তারা পরিস্থিতি সংকট উত্তরণ এবং এবং মানবিক আর্তির প্রতি দৃষ্টি দিয়ে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওযার আহ্বান জানিয়েছে। রোহিঙ্গা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ করেছে। বিশ্ব আর্থিক সংস্থাটি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।