ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক মহিউদ্দিন রানাসহ তিনজনকে চারদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আক্তার মাহমুদা বেগম এ আদেশ দেন।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আজ মামলা তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির (অপরাধ তদন্ত বিভাগ) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম আসামিদের হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে নেওয়া অপর দুজন হলেন ফলিত রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের আবদুল্লাহ আল মামুন এবং পরীক্ষার্থী ইশরাক হোসেন রাফি। ছাত্রলীগের নেতা মহিউদ্দিন রানা ঢাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র।
গতকাল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) শারমিন জাহান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের একটি দল অমর একুশে হল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবদুল্লাহ আল মামুন ও শহীদুল্লাহ হল থেকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ইলেকট্রনিক ডিভাইস গ্রহণ করে অসদুপায় অবলম্বনকারী ইশরাক আহমেদ রাফীকে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনজনের কাছ থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কমিউনিকেশন ডিভাইস (মাস্টারকার্ড সদৃশ), কানে ব্যবহারের জন্য অতিক্ষুদ্র তারবিহীন যন্ত্র ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এই ক্ষুদ্র ইয়ারপিস কানে লাগিয়ে মানিব্যাগে ওই মাস্টারকার্ড রেখে দিলেই অপর প্রান্ত থেকে যোগাযোগ করা সম্ভব। এর সাহায্যে প্রশ্নের সেট কোড জেনে নিয়ে পরীক্ষার্থীদের উত্তর বলে দেওয়া হতো। প্রতি পরীক্ষার্থীর সঙ্গে তাঁদের চুক্তি ছিল দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত।
পরে ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন রানা এবং ঢাবির শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন ও পরীক্ষার্থী ইশরাক আহমেদ রাফীর নামে শাহবাগ থানায় মামলা করে সিআইডি। অন্য ১২ জনকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।