রাজধানীতে জলাবদ্ধতা দ্রুত সমাধান সম্ভব নয় : সাঈদ খোকন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, অতিবৃষ্টির কারণেই রাজধানীতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দ্রুত কোনো সমাধান দেয়া সিটি করপোরেশনের পক্ষে সম্ভব নয়।

আজ শনিবার নয়াদিগন্তকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা বলেন।

সাঈদ খোকন বলেন, গত দুই দিন দুই রাত ধরে একটানা বৃষ্টিপাত হয়েছে। এভাবে অতি বৃষ্টি হওয়ার কারণে সড়কে পানি জমে গেছে। সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ও ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকেও পানি অপসারণে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হওয়ায় পানি দ্রুত অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি জানান, নগরীর ড্রেন উন্নয়নে কাজ চলছে। এটি শেষ হলে তখন স্বাভাবিক বৃষ্টি হলে সড়কে পানি জমবে না। কিন্তু অতিবৃষ্টি হলে তখন কিছু করার থাকে না। পানি অপসারণে একটু সময় দিতে হয়।

ডিএসসিসির অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকতা খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে বলেন, দক্ষিণ সিটির ৫৭টি ওয়ার্ডেই ইমার্জেন্সি টিম রয়েছে। এ টিমে ১০ জন করে সদস্য রয়েছে। মেয়রের আহবানে ও কর্মকর্তাদের উদ্যোগে আজ সকাল থেকেই এ টিমের সদস্যরা কাজ শুরু করে। ম্যানহোলের মুখের ঢাকনা খুলে দেয়া, ড্রেন পরিস্কারসহ বিভিন্ন বাধা অপসারণে কাজ করেন তারা। তবে ঢাকা ওয়াসার ড্রেনের ৭৫ ভাগই শক্ত মাটিতে ভর্তি রয়েছে। এ কারণে পানি দ্রুত অপসারণ হচ্ছে না। ধীরগতিতে পানি যাওয়ার কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।

রাজধানীর জলাবদ্ধতা বিষয়ে জানতে আজ সন্ধ্যায় টেলিফোনে যোগাযোগ করলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্যানেল মেয়র ওসমান গণি, প্রধান প্রকৌশলী সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ কুদরত উল্লাহ কেউই ফোন ধরেননি।

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী কামরুল হাসানের ফোন বাজলেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।