আগামীতে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় ভারত। গতকাল রাত ৮টায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে বৈঠকে সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এ অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। একই সাথে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যাতে নিরাপদে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে সেজন্য মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন সুষমা স্বরাজ।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। রাত ৮টা থেকে ৪৫ মিনিটব্যাপী স্থায়ী হয় এ বৈঠক। বিএনপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও সাবিহ উদ্দিন আহমেদ।
বৈঠক শেষে হোটেল সোনারগাঁওয়ের লবিতে আলোচনার বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের জানান বিএনপি মহাসচিব। মির্জা ফখরুল বলেন, সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আমরা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যাতে নিরাপদে দেশে ফিরে যেতে পারে সেজন্য মিয়ানমার সরকারের ওপর ভারত চাপ অব্যাহত রেখেছে। আমরা আশা করছি একটি নিরাপদ পরিবেশে রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে পারবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসন বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগামী নির্বাচনের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। সুষমা স্বরাজ সব শুনেছেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন, ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে প্রতিবেশী দেশগুলোতেও যাতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় থাকে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন হয়, নির্বাচন কমিশনও যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে সেটি তারা প্রত্যাশা করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামীতে সকলের অংশগ্রহণে যাতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয় সে অবস্থানের কথাটি তুলে ধরেন। বেগম খালেদা জিয়ার সাথে একান্তে আর কোনো বৈঠক হয়নি বলে বিএনপি মহাসচিব জানান।
খালেদা জিয়া-সুষমা স্বরাজ বৈঠক – সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন চায় ভারত
