রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। সোমবার ঢাকার মহানগর দাযরা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরোয়ানাভুক্ত অন্যরা হলেন- একুশে টেলিভিশনের তৎকালীন প্রধান প্রতিবেদক মাহাথির ফারুকী এবং বিশেষ প্রতিনিধি কণক সরওয়ার খান।
এ মামলায় জামিনে থাকা একমাত্র আসামি বেসরকারি টেলিভিশন একুশে টিভির (ইটিভি) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সালাম আদালতে হাজির ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল জানান, মামলাটিতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের পর বিচারের জন্য বদলি মূলে এ আদালতে আসে। আজ অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার দিন ধার্য ছিল। পরোয়ানা জরি করা আসামিরা বিনা পদক্ষেপে গড়হাজির ছিলেন। চার্জশিটভুক্ত সকল আসামিদের বিরদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচারক পরোয়ানা জারি করেছেন।
গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক এমদাদ হোসেন তারেক রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২৪(এ) ও পুলিশ ইনসাইটমেন্ট অব ডিস অ্যাফেকশনের ১৯২২-এর ৩ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি লন্ডনে একটি অনুষ্ঠানে তারেক রহমানের দেওয়া বক্তব্য ইটিভিতে সরাসরি প্রচারিত হয়। ওই বক্তব্যে রাষ্ট্রদ্রোহিতার উপাদান রয়েছে বলে অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়। মামলায় পরস্পর যোগসাজশে রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই বছরের ৬ জানুয়ারি তেজগাঁও থানার পুলিশ তারেক রহমান ও আবদুস সালামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে।
মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর ৮ জানুয়ারি ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ইটিভির তৎকালীন চেয়ারম্যান আবদুস সালামের বিরুদ্ধে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি করেন তেজগাঁও থানার (অপারেশন অফিসার) উপপরিদর্শক বোরহান উদ্দিন।
এজাহারে বলা হয়, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত ৪ জানুয়ারি লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উসকানিমূলক এবং বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দেন। তাঁর ওই বক্তব্যের মাধ্যমে দেশের স্বাধীন বিচার বিভাগ, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং পুলিশ বাহিনীর মধ্যে অসন্তোষ ও বিদ্বেষ সৃষ্টির জন্য তিনি অপচেষ্টা চালিয়েছেন। তারেকের দেয়া ওই বক্তব্য এ আসামি তার মালিকানাধীন টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করেন। যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ।