ব্ল্যাক রাইস: পুষ্টি খুঁজে নিন ‘নিষিদ্ধ’ চালে!

বর্তমানে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা কম থাকলেও হাজার হাজার বছর ধরে এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ব্ল্যাক রাইস বা কালো চাল খাওয়া হচ্ছে; কিন্তু শত শত বছর ধরে এটি কেবলমাত্র চীনা রাজপরিবারগুলোর জন্য সংরক্ষিত ছিল। সাধারণ জনগণের জন্য নিষিদ্ধ ছিল বলেই “নিষিদ্ধ চাল” নাম পেয়েছে এই ব্ল্যাক রাইস। আজ এই ধরনের চাল আবার জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপ জুড়ে স্বাস্থ্যকর খাদ্যের দোকানগুলো থেকে প্রচুর পরিমানে বিক্রি হচ্ছে, কারণ কালো রঙের এই চাল কিছুদিন আগেই সুপারফুড হিসাবে খ্যাতি পেয়েছে।

 

পুষ্টি উপাদান:

আধা কাপ সিদ্ধ অথবা প্রায় ১/৪ কাপ অসিদ্ধ ব্ল্যাক রাইসে নিচের পুষ্টি উপাদান গুলো থাকে (পরিবেশনা- ১ জনের জন্য):

ক্যালরি ১৬০

চর্বি ১.৫ গ্রাম

কার্বোহাইড্রেট ৩৪ গ্রাম

ফাইবার ২ গ্রাম

প্রোটিন ৫ গ্রাম

 

উপকারিতা:

প্রতি পরিবেশনায় ক্যালোরি থাকে মাত্র ১৬০, কিন্তু প্রচুর পরিমানে ফ্লাভানয়েড ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস থাকে যা একটি গুরুত্বপূর্ণ ফাইবারের উৎস। এছাড়াও আয়রন, কপার এর মতো খনিজ এবং খুব ভালো মানের উদ্ভিজ্জ প্রোটিন থাকে। ব্ল্যাক রাইস থেকে নিম্নোক্ত স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়:

১। এন্টিঅক্সিডেন্টস-এ ভরপুর যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

২। ধমনী পরিষ্কার রেখে হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে।

৩। দেহকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে।

৪। এটি ফাইবারের উত্তম উৎস যা হজমে সাহায্য করে।

৫। রক্তে চিনি শোষণের পরিমান কমিয়ে ডায়াবেটিস রোধে সাহায্য করে।

৭। ক্যালোরি কম থাকার ফলে স্থূলতা প্রতিরোধ করে

 

রন্ধন প্রক্রিয়া:

এর ঘনত্ব মেশিনে রিফাইন করা সাদা চালের চেয়ে বেশি হওয়ায় রান্নায় সময় বেশি লাগে। এজন্য

– রান্নার আগে অন্তত এক ঘন্টা চাল পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এর চেয়ে বেশি রাখলে আরো ভালো।

– এরপর চাল ভালোভাবে ধুয়ে চুলায় বসিয়ে দিন।

– প্রতি এক কাপ চালের জন্য ২ কাপ পানি দিয়ে সিদ্ধ করুন।

– অন্তত আধ ঘন্টা সিদ্ধ করতে হবে যদি চাল আগে ভিজিয়ে রেখে থাকেন। ভিজিয়ে না থাকলে এক ঘন্টা বা এর চেয়েও বেশি সময় লাগতে পারে।

– সময় হলে সাধারণ চালের মতোই একটা/দুটা চাল টিপে পরীক্ষা করে দেখুন সিদ্ধ হয়েছে কিনা। হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন।

এরকম আরো অনেক খাবার সম্পর্কে অজানা তথ্য জানতে সাবস্ক্রাইব করুন টনিকের স্বাস্থ্য চ্যানেলে। আর নিশ্চিত করুন সুস্বাদের সাথে পরিবারের সুস্বাস্থ্য।