যে ৬ টি লক্ষণ দেখা দিলে শিশুকে ডাক্তার দেখানো উচিত

শিশুদের শারীরিক অথবা মানসিক আচার ব্যবহার দেখেও অনেক সময় রোগের উপস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তাই শিশুদের শরীরে এমন লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো উচিত। এমন ৭ টি লক্ষণ সম্পর্কে এখানে আলোচনা করা হলো-

১. আচার-আচরণে পরিবর্তনঃ হঠাৎ করে নিয়মিত ঘুমে সমস্যা হলে কিংবা অনেকদিন ধরে ক্ষুধা কমে গেলে শিশুকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত।

২. আমাদের শরীরে তিল বা আঁচিল থাকে। বাচ্চাদের গায়েও থাকে। যদি কখনো খেয়াল করেন যে শরীরের কোন তিল বা আঁচিলের  আকার বা আকৃতিতে দ্রুত পরিবর্তন এসেছে তাহলে দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

৩. জোরে নাক ডাকাঃ ঘুমানোর সময় নাক ডাকার আওয়াজ হতে পারে, সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু নাক ডাকার শব্দ যদি খুব জোরে হয়, অথবা এত বেশি হয় যে মনে হয় শিশুর শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে বা ঘুম ভেঙ্গে যাচ্ছে তাহলে হতে পারে এটা স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ, এক্ষেত্রে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।

৪. ঘন ঘন তৃষ্ণা পাওয়াঃ ঘন ঘন তৃষ্ণা পাওয়া অবশ্যই উদ্বেগের ব্যাপার। শিশু যদি ঘন ঘন তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ে তাহলে তাকে ডাক্তার দেখান।

৫. মাথায় টাক দেখা দেওয়াঃ চুল পড়ার কারণেই মাথায় টাক দেখা দেয়। বড়দের জন্য এটা স্বাভাবিক হলেও শিশুদের ক্ষেত্রে এমনটাভিটামিনের অভাবে হতে পারে। চুল পড়ার আসল কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখান।

৬. শ্রবন ক্ষমতা কমে যাওয়াঃ শিশুকে ডাকলে যদি সাড়া না দেয় কিংবা প্রতিক্রিয়া না দেখায় তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে তার শ্রবন ক্ষমতা পরীক্ষা করানো উচিত।