ব্লকচেইনভিত্তিক প্রযুক্তি সেবা বাংলাদেশে

বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি পরামর্শক ও সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইজেনারেশন ব্লকচেইন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। ব্লকচেইন হচ্ছে তথ্য সংরক্ষণ করার একটি নিরাপদ এবং উন্মুক্ত পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে তথ্য বিভিন্ন ব্লকে একটির পর একটি চেইন আকারে সংরক্ষণ করা হয়। নতুন এ প্রযুক্তি সম্পর্কে জানাতে ‘বৈশ্বিক অর্থায়ন ব্যবস্থায় ব্লকচেইন—বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে ইজেনারেশন। বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বিডিবিএল ভবনের বেসিস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশে ব্লকচেইনের মতো প্রযুক্তি নিয়ে কাজ হচ্ছে, যা সত্যিই গর্বের। বাংলাদেশের অন্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের নাম উজ্জ্বল করতে ভূমিকা রাখবে। জনগণের জন্য উপকারী, এমন যেকোনো প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সরকার সমর্থন করবে।

ইজেনারেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম আহসান জানান, সম্প্রতি ইজেনারেশন দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্মার্টক্রাউডের জন্য ব্লকচেইন ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-ভিত্তিক ডিজিটাল বিনিয়োগ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে। গণমাধ্যমে ইন্টারনেট যেমন ভূমিকা রেখেছে, ব্যাংকিং খাতে ব্লকচেইনও তেমনি ভূমিকা রাখবে। স্বাস্থ্যসেবা, ব্যাংকিং, রিয়েল স্টেট এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিবর্তন নিয়ে এসেছে এ প্রযুক্তি। ব্লকচেইন প্রযুক্তি বিনিয়োগ শিল্পকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে। বর্তমানে গতানুগতিক ও বিকেন্দ্রীকৃত প্রতিষ্ঠানগুলো ইনিশিয়াল কয়েন অফারিং (আইসিও) দ্বারা ব্যবসায় বিনিয়োগের তহবিল সংগ্রহ করছে।

গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, সিটিও ফোরামের প্রেসিডেন্ট তপন কান্তি সরকার, বাংলাদেশ কল সেন্টার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদুর রহমান, বাংলাদেশের ব্যাংকের পরিচালক জামাল উদ্দিন, ইজেনারেশন গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান এস এম আশরাফুল ইসলাম, উদ্যোক্তা শওকত শামিম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য স্থাপন করে আশরাফুল ইসলাম বলেন, কপিরাইট নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে ব্লকচেইন একটি বড় ভূমিকা পালন করবে। আমাদের দেশে ভূমি রেকর্ড ব্যবস্থাপনায় ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।