মিমের বাসায় নৌমন্ত্রী, হাসির জন্য ক্ষমা চাইলেন

রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় নিহত শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিমের (১৬) বাসায় গিয়ে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি। এসময় শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন নৌমন্ত্রী। বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তিনি দিয়াদের বাসায় যান। প্রায় ১৫ মিনিট সেখানে অবস্থান করেন।

শাজাহান খান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি।

দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নৌপরিবহনমন্ত্রী তাঁকে বলেন তিনি অন্য একটি প্রসঙ্গে হেসেছিলেন। তখনো জানতেন না সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। পরে সাংবাদিকেরা বিষয়টি অন্যভাবে উপস্থাপন করেন। তাঁর হাসিতে সবাই দুঃখ পেয়েছে জেনে তিনি আগেই শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। এখন নিজে এসে তাদের পরিবারের কাছেও ক্ষমা চান।

জাহাঙ্গীর নৌপরিবহনমন্ত্রীকে বলেছেন, যা-ই হোক না কেন, তিনি সড়কে নিরাপত্তা চান। তিনি চান তাঁর মেয়ের অছিলায় হলেও সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধ হোক। অদক্ষ চালকদের হাতে আর স্টিয়ারিং না থাকুক। তাঁর মেয়ে অন্যদের সঙ্গে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। শুধু চালকের খামখেয়ালির কারণে তাঁর মেয়েটা মারা গেছে।

গত রোববার বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর নামের একটি বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজীব নিহত হয়। ঘটনার দিন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের হাসিমুখে প্রতিক্রিয়া জানান নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।

গত রোববার বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর নামের একটি বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজীব নিহত হয়।