প্রেম আর প্রকৃতির মধ্যে একটা মিল রয়েছে। প্রকৃতিতে যেমন ঝড় ওঠে, বৃষ্টি হয়, ফের আকাশ পরিষ্কার হয়ে ঝকঝকে রোদ ওঠে, তেমনি প্রেমের সম্পর্কও কখনও মসৃণভাবে, একই গতিতে চলে না। সেখানেও ঝগড়া হয়, দানা বাঁধে সংশয়, সন্দেহ। অনেক সময় ভিত্তিহীন সন্দেহের জেরে ভেঙেচুরে যায় অনেক সম্পর্ক। যে সব কারণে সুখী ও স্থায়ী সম্পর্কে ভাঙন ধরে, তার একটি বড়ো উদাহরণ হল পরকীয়া। স্বামী বা প্রেমিক অন্য কারও প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়লে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সত্যিই মুশকিল কারণ নিজের মানসম্মানের প্রশ্নটা তখন বড়ো হয়ে ওঠে। কিন্তু আবার অনেক সময় নিছক সন্দেহের বশেও পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে।
স্বামী পরকীয়ায় লিপ্ত কিনা তা নিশ্চিতভাবে কি বোঝা সম্ভব ? স্বামীর আচরণে যদি চোখে পড়ার মতো কোনও পরিবর্তন দেখেন, তা হলে সতর্ক হোন। নিচে কিছু সাধারণ লক্ষণের কথা বলছি। এর একটি বা একাধিক যদি স্বামীর মধ্যে দেখেন, তা হলে বসে কথা বলার সময় হয়েছে।
স্বামীর স্বভাবে হঠাৎ পরিবর্তন
ধরা যাক, এমনিতে আপনার স্বামী চুপচাপ স্বভাবের। হঠাৎ করেই যদি তিনি উচ্ছ্বল আচরণ করতে থাকেন, তা হলে ওঁর জীবনে নিশ্চিতভাবেই কোনও একটা পরিবর্তন এসেছে। সেটা কী জানার চেষ্টা করুন। স্বামী হঠাৎ করে চুপচাপ হয়ে গেলেও জানার চেষ্টা করুন কী হয়েছে ওঁর।
হঠাৎ গোপনীয়তা
টেবিলের যে ড্রয়ার দিনরাত খোলাই পড়ে থাকত, আজকাল কি বাইরে যাওয়ার আগে তাতে তালা লাগিয়ে দিচ্ছেন স্বামী? মোবাইল ফোনে পাসওয়ার্ড দিতে শুরু করেছেন? জিজ্ঞেস করলে স্পষ্ট কোনও উত্তর দিচ্ছেন না? তেমন হলে কিন্তু নিশ্চিতভাবেই উনি আপনার থেকে কিছু লুকোচ্ছেন।
দেরি করে বাড়ি ফেরা
যে মানুষটা এতদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে বাড়ি ফিরতেন বা বাড়ি থেকে বেরোতেন, হঠাৎই কি সেখানে ছন্দপতন লক্ষ করছেন আপনি? অফিসের ট্রিপে বাইরে যাওয়ার প্রবণতাও কি বেড়ে গেছে? তা হলে কিন্তু খোঁজখবর নেওয়ার সময় হয়েছে।
উপহারের আধিক্য
হঠাৎ করেই স্বামী যদি নতুন ঘড়ি পরা শুরু করেন, নতুন পারফিউম ব্যবহার করেন, যেগুলো উনি নিজে কেনেননি বা আপনিও দেননি, তা হলে একটু খেয়াল করে দেখুন উনি এ সব জিনিস কোথা থেকে উপহার পাচ্ছেন।
রাতবিরেতে ফোন
বেশি রাত পর্যন্ত স্বামী যদি ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, ফোনে কথা বলার জন্য অন্য ঘরে উঠে যান, তা হলে একটু সতর্ক হওয়ার সময় হয়েছে।
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: উপরে দেওয়া উদাহরণগুলো নিতান্তই কিছু সাধারণ ঘটনা। এই ঘটনাগুলো ঘটছে মানেই যে আপনার স্বামী পরকীয়ায় লিপ্ত, তা নাও হতে পারে। প্রথম থেকেই স্বামীকে সন্দেহ করবেন না, বরং ঠান্ডা মাথায় কারণগুলো জানার চেষ্টা করুন। অভিযোগ বা ঝগড়াঝাঁটি না করে শান্তভাবে কথা বললে অনেক সমস্যারই সমাধান হওয়া সম্ভব।