ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক তিনি নন। ডেভিড ডি গিয়ার মতো গোলরক্ষক যে ক্লাবে খেলেন, তাঁকে টপকে এক নম্বর হতে চাওয়ার কাজটা বেশ কঠিন। কিন্তু হোসে মরিনহোকে এতটাই মনে ধরেছে, সার্জিও রোমেরো ক্লাব বদলানোর কথা চিন্তাও করেননি। ইউনাইটেডও তাঁকে আরও দীর্ঘ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভেবেছে। এ কারণে দুই পক্ষ চার বছরের নতুন চুক্তি সেরে ফেলেছে।
৩০ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক গত মৌসুমে মূলত খেলেছেন ইউরোপা লিগে। ইউরোপা লিগের ১২ ম্যাচের প্রতিটিতে ছিলেন। এমনকি ফাইনালে ওঠার পর ডি গিয়াকে খেলানো হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মরিনহো বলেছিলেন, যে গোলরক্ষক দলকে ফাইনালে তুলে আনলেন, তাঁকে সরিয়ে আরেকজনকে গোলপোস্ট সামলাতে বলা অন্যায়।
রোমেরো ফাইনালেও দারুণ খেলেছেন। জিতিয়েছেন ইউরোপা লিগ। সব মিলিয়ে গত মৌসুমে খেলেছেন ১৮ ম্যাচ। আর্জেন্টিনার প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক হিসেবে আরও বেশি ম্যাচ খেলা উচিত কি না, এমন একটা প্রশ্ন আছে। এবারই সেরা সুযোগ ছিল রোমেরোর দল বদলানোর। কিন্তু ইংলিশ ক্লাব ছাড়ার কোনো ইচ্ছা ছিল না ৩০ বছর বয়সীর।
ক্লাব ও ডি গিয়ার সঙ্গে নিজের দারুণ সম্পর্কের কথা জানিয়ে রোমেরো বলেছেন, ‘নতুন চুক্তিতে সই করতে পেরে আমি সত্যিই রোমাঞ্চিত। বিশ্বের সেরা ক্লাবে কে না থাকতে চায়? আমাদের ক্লাবে বিশ্বের সেরা গোলরক্ষকেরা আছে। আমরা পরস্পরের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখি। তা ছাড়া গতবারের ইউরোপা লিগের ফাইনাল আমার আর আমার পরিবারের জন্য ছিল দারুণ গর্বের। গতবারের সাফল্যকে আমরা আরও টেনে নিয়ে যেতে চাই এবারের মৌসুমে।’
২০১৪ বিশ্বকাপে হল্যান্ডের বিপক্ষে সেই আলোচিত টাইব্রেকারে একাই লড়েছিলেন। পুরো আসরে খেলেছেন দারুণ। পরের বছরই চলে আসেন ইউনাইটেডে। ডি গিয়া রিয়াল মাদ্রিদে চলে যাচ্ছেন বলে বহুদিন ধরে চলা খবরটার পরও ইউনাইটেডকে স্থিতি দিয়েছিলেন রোমেরোই।
কোচ মরিনহোও খুশি রোমেরোর নতুন চুক্তিতে, ‘সার্জিও অসাধারণ, দায়িত্বশীল এক গোলরক্ষক। গত মৌসুমটা ওর দুর্দান্ত কেটেছে, অসাধারণ খেলেছে, বিশেষ করে ইউরোপা লিগে আমাদের সাফল্য এনে দিয়েছে। সার্জিওর নতুন চুক্তিটা পাওনা ছিল। দলে আমাদের সার্জিও আর ডেভিড দুজনই থাকছে, এটা সত্যিই দুর্দান্ত। দুজনেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে দলে।’
ইউনাইটেডে রোমেরো থাকছেন ২০২১ পর্যন্ত
