আলঝেইমার্সের সাত ধাপ

চিকিৎসাবিজ্ঞানের ব্যাপক উন্নতির পরও এক আতঙ্কের নাম ‘আলঝেইমার্স’। সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে এই রোগের আগমন ঘটে।

ধাপ-১ : স্বাস্থ্যগত সমস্যা নেই

এ সময় আলঝেইমার্স রোগটি মোটেও বোঝা যায় না। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতায় কোনো পরিবর্তনও চোখে পড়ে না। স্মৃতিশক্তি হারানোর ঘটনাও ঘটে না।

ধাপ-২ : সামান্য আভাস

এই পর্যায়ে কিছু একটা ভুলে যাওয়ার ঘটনা নিয়মিত হয়ে উঠতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তি অতি সাধারণ কোনো শব্দ ভুলে যেতে পারেন। বাড়ির কোথায় কী আছে, তাও মনে আসে না মাঝেমধ্যে।

ধাপ-৩ : আরেকটু আভাস

এবার কিন্তু পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুরা সমস্যাটাকে ধরতে পারবে। তারা বুঝবে, মানুষটি অনেক কিছুই ভুলে যাচ্ছেন, প্রায়ই সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। কাজ গুছিয়ে আনতে এবং পরিকল্পনা করতেও সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।

ধাপ-৪ : এবার স্পষ্ট হয়

আলঝেইমার্স তার অস্তিত্বের ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে। মনে রাখবেন, এ রোগটি পরীক্ষায় ধরা পড়ে। বিশেষজ্ঞরা রোগীর সাক্ষাৎকার নিয়েই অনেক কিছু ধরে ফেলেন।

ধাপ-৫ : সমস্যা বাড়ছেই

অধিকাংশ আলঝেইমার্স রোগীর ব্যাপক সহায়তার দরকার পড়ে। প্রতিদিনের কাজ করতে তাঁদের পরিবারের কারো সাহায্যের দরকার হয়। রান্না বা পোশাক বদলানো কিংবা খাওয়ার কাজও তাঁদের মনে থাকে না।

ধাপ-৬ : অবস্থা গুরুতর

রোগীর পরিণতি দেখে সবাই দুঃখ পাবে। সারা দিন তাঁর সঙ্গে একজনকে থাকতে হবে। নয়তো তিনি কিছুই করতে পারবেন না। রোগী তাঁর চারপাশটা নিয়ে আরো বেশি অসচেতন হয়ে পড়বেন।

ধাপ-৭ : শোচনীয় পর্যায়

এটাই শেষ অবস্থা। এ পর্যায়ে রোগীকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অধিকাংশ রোগীই কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। তাঁরা হাসতেও ভুলে যান।

প্রতিরোধ

আলঝেইমার্স ভালো করার কোনো চিকিৎসা নেই। ওষুধের মাধ্যমে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হয়। অনেক আগে থেকেই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে একে প্রতিরোধের চেষ্টা করতে হয়। পুষ্টিকর খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম ইত্যাদি আলঝেইমার্সকে দূরে রাখতে পারে। তবে কোনো কিছুই শতভাগ কার্যকর নয়।

তথ্যসূত্রঃ চিট শিট অবলম্বনে