আপনাদের আর ডুবতে হবে না

চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে সমাধানের জন্য বড় প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে সুসংবাদ শিগগিরই চট্টগ্রামবাসী জানতে পারবে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন এই তথ্য জানান।

নান্দনিক চট্টগ্রামের নন্দিত নাগরিক হিসেবে গতকাল গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেনকে আমন্ত্রণ জানায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব। এ সময় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সহসভাপতি শহীদ-উল আলম ও যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রামকে আমি নান্দনিক শহর বলতে পারি না। এ শহরে আপনারা পানিতে ডুবছেন। কিন্তু শহরের জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে সমাধানের জন্য শিগগিরই সুসংবাদ শুনতে পাবেন। এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিডিএর চেয়ারম্যান ছালাম ও আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি দ্রুত একনেক বৈঠকে নিয়ে যাওয়া হবে। ইতিমধ্যে কালুরঘাট থেকে কর্ণফুলী সেতু পর্যন্ত দুই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে আপনাদের আর ডুবতে হবে না।’

মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও অনেক মেগা (বড়) প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ফ্লাইওভার (উড়ালসড়ক) প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়ার সময় বলেছেন, এই ফ্লাইওভার দিয়ে কর্ণফুলী টানেল হয়ে সোজা কক্সবাজার চলে যাওয়া যাবে।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরে সরকারি জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নগরের হালিশহর এলাকায় সরকারি জায়গায় নন্দিত পার্ক এবং শপিং মল করা হবে। জাতিসংঘ পার্কের উন্নয়ন কাজও শুরু হবে।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার বলেন, চট্টগ্রামের সাংবাদিকেরা স্বনির্ভর থাকতে চান। সেই লক্ষ্য নিয়ে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব কাজ করছে। সবার সহযোগিতা নিয়ে অসমাপ্ত কাজ শেষ হলে সেই লক্ষ্য পূরণ হবে।

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অন্যান্য সাংবাদিক নেতারা চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের আবাসন সমস্যার চিত্র তুলে ধরেন। মন্ত্রী সিডিএর ‘অনন্যা’ দ্বিতীয় প্রকল্পে তাঁদের আবাসনের ব্যবস্থা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।