বঙ্গোপসাগর মাছশূন্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা মৎস্যমন্ত্রীর

বঙ্গোপসাগর মাছশূন্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে মতবিনিময় সভায় তিনি এ আশঙ্কার কথা জানান।

 সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এই সভা হচ্ছে। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) উৎকণ্ঠায় রয়েছেন, থাইল্যান্ডের মতো বঙ্গোপসাগরও মাছশূন্য হয়ে পড়ে কিনা। তাই আমাদের সাগরের সম্পদ রক্ষা করতে হবে। এ জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’

সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে ‘সামুদ্রিক মৎস্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন’ শীর্ষক এ সভায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এতে বক্তব্য দেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ, নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল এম আশরাফুল হক, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমীন, নৌ বাণিজ্য অধিদপ্তরের মুখ্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরের পরিচালক এম আই গোলদার।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্বমানের মেধা আছে। কিন্তু একটাই দোষ একটু দুই নম্বরি করে। আমাদের সচিবেরাও অত্যন্ত মেধাবী।’

সভায় সচিব মাকসুদুল হাসান বলেন, ‘২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখলে আমাদের মৎস্য সম্পদ বাড়বে। প্রতিটি মা ইলিশ ২৫ লাখ ডিম ছাড়ে। তাই মা মাছ মারা যাবে না।’

অন্যান্য বক্তারা সাগরে বেহুন্দি জাল বন্ধ করতে হবে বলে মত দেন। এ ছাড়া লাইসেন্সবিহীন মাছ ধরার ট্রলার চলাচলের ব্যাপারেও আলোচনা হয়। সভায় জানানো হয়, ট্রলার রয়েছে ৬৭ হাজার, লাইসেন্স আছে মাত্র ২ হাজারের।