কেশবপুরে বন্যা, দেড় শতাধিক বাড়ি প্লাবিত

যশোরের কেশবপুর উপজেলায় গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে হরিহর নদের পানি বেড়েছে। পাড় উপচে দেড় শতাধিক বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। নদে মাছ ধরার জন্য কয়েকটি বাঁশের বেড়া (পাটা) দেওয়া হয়েছে। এতে পানি সহজে নামতে পারছে না।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার মধ্যকুল এলাকায় শতাধিক বাড়িতে পানি উঠেছে। ওই এলাকার তেলের পাম্পের অপর প্রান্তে খাঁপাড়ার প্রায় প্রতিটি বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে।
আতিয়ার রহমান নামের একজন বাসিন্দা প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের মতো এবারও পানি ঘরবাড়ি ডুবিয়ে দিলে, এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। এখানকার মৃত অহর আলী বিশ্বাসের বাড়িতে যাওয়ার রাস্তার ওপর দুই ফুট পানি। এই রাস্তা দিয়ে খাঁপাড়ার বাসিন্দারা যাতায়াত করেন।
ঘেরমালিক আবদুর রউফ বলেন, ‘এ বছর জলাবদ্ধতার আশঙ্কায় উঁচু করে মাছের ঘেরের বেড়ি দিয়েছিলাম। কিন্তু তিন দিনের বৃষ্টিতে পানি বেড়ে বেড়ি ছুঁই ছুঁই করছে। প্রায় এক লাখ টাকার জাল কিনে বেড়ির ওপর দিয়েছি। তারপরও শেষ রক্ষা হবে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’
এদিকে হরিহর নদ ছাড়াও বুড়ি ভদ্রা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে পাশের জমি তলিয়ে গেছে। কেশবপুর শহরের হাসপাতালের সামনে, বায়সা, ভোগতী এলাকায় পাটখেতে পানি উঠে গেছে। এ কারণে এসব এলাকার বাসিন্দারা আগাম পাট কেটে ফেলছেন।
হরিহর নদ ও বুড়ি ভদ্রায় মাছ ধরার জন্য এলাকার কিছু লোক বাঁশের বেড়া দিয়েছেন। এতে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. কবীর হোসেন গত বৃহস্পতিবার বিকেলে হরিহর নদে দেওয়া ছয়টি বাঁশের বেড়ার মধ্যে দুটি উচ্ছেদ করে দেন। এতে প্রায় তিন ফুট পানি নেমে গেছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন, দুটি পাটা উচ্ছেদ করা হয়েছে। শিগগির অন্য পাটাগুলো উচ্ছেদ করা হবে। উচ্ছেদ চলাকালে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
তবে গতকাল শুক্রবার আবার ওই দুটি বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে। তা ছাড়া গতকাল সকালে শহরের সাহা পাড়া এলাকায় ৫০টির মতো বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে।