ইয়াবা ঠেকাতে নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধের চিন্তা

ইয়াবা বড়ির চালান ঠেকাতে মিয়ানমার সীমান্তে কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীতে সাময়িকভাবে মাছ ধরা বন্ধের চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, ইয়াবার ভয়াবহতার বিষয়টি মিয়ানমারকে জানানো হয়েছে। তারা সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।

গতকাল শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গায় র‍্যাব-৭-এর সদর দপ্তরে আয়োজিত মাদকদ্রব্য ধ্বংস কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর উপস্থিতিতে ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ইয়াবা, ৭ হাজার ১৮১ বোতল ফেনসিডিল, ২০০ বোতল বিদেশি মদ ও ২০০ কেজি গাঁজা ধ্বংস করা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইয়াবা পাচার বন্ধের জন্য আমরা নাফ নদীতে একটি প্রোগ্রাম (কর্মসূচি) নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে প্রোগ্রাম সম্পর্কে পরে ঘোষণা দেব। আমরা জেলেদের শুধু অনুরোধ করব, তাঁরা যেন নাফ নদীতে মাছ ধরতে না যান। ওই সময় বিজিবি ও কোস্টগার্ডের নজরদারিতে এসে যাবে—কারা সীমান্ত পাড়ি দেয়, কারা নদী অতিক্রম করে এবং বাংলাদেশে ইয়াবা নিয়ে আসে।’

অনুষ্ঠানে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিভিন্ন অভিযানে ইয়াবা জব্দ করার বিষয়ে বলেন, ‘যেসব সোর্স দিয়ে ইয়াবা ধরা হয়, তাদের টাকা না দিয়ে ইয়াবা দিচ্ছে। এটা মারাত্মক ব্যাপার। টাকা না দিয়ে ইয়াবা দেবেন, এটা হতে পারে না। এটার সত্যতা আমার কাছে নেই। আমি বলেছি, যেহেতু আমার কানে এসেছে। প্রশাসন ও আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন, তাঁরা সত্যতা দেখবেন।’

অনুষ্ঠানে র‍্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ মিয়ানমারের সীমান্তে নাফ নদীর এক কিলোমিটার এলাকায় জেলেমুক্ত অঞ্চল করার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, নাফ নদীতে মাছ ধরার কথা বলে ইয়াবা আনা হচ্ছে। এ জন্য বাংলাদেশের মাছ ধরার ট্রলারগুলোয় বিশেষ রং দেওয়া এবং জেলেদের পরিচয়পত্র দেওয়ার বিষয়টি চিন্তা করা উচিত। এই প্রস্তাব ছয় মাসের জন্য কার্যকর করা যেতে পারে।