রাঙামাটিতে গৃহহীনদের স্থায়ী পুনর্বাসনে দুটি কমিটি

রাঙামাটিতে ভয়াবহ পাহাড়ধসের ঘটনার গৃহহীনদের স্থায়ী পুনর্বাসনের জন্য দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি নিরাপদ জায়গা নির্ধারণ করা, আরেকটি গৃহহীনদের স্থানীয় পুনর্বাসন কমিটি। আজ রোববার রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি সভায় এ কমিটি দুটি গঠন করা হয়।
সভায় দুটি কমিটি গঠন করা হয়। একটি কমিটি নিরাপদ জায়গা নির্ধারণ করবে এবং জায়গাটিতে একাধিক বাড়িঘর নির্মাণ করা সম্ভব। এখানে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) প্রকাশ কান্তি চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে ১৭ সদস্যের কমিটি করা হয়। আরেক কমিটি পাহাড়ধসের প্রকৃত গৃহহীনদের তালিকাও যাচাই করবে। এতে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আবু সাহেদ চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি দুটি জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আবু সাহেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, পাহাড়ধসের ঘটনায় গৃহহীনদের দ্রুত স্থায়ী পুনর্বাসনের জন্য জেলা প্রশাসক দুটি শক্ত কমিটি গঠন করেছেন। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। কমিটি দুটি গৃহহীনদের জন্য নিরাপদ জায়গা নির্ধারণ ও প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের যাচাই করবে।
সকাল সাড়ে ১০টায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মানজারুল মান্নানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবু সাহেদ চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অরুণ কান্তি চাকমা, রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনী আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শহীদ উল্লাহ, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা বিশ্বনাথ মজুমদার প্রমুখ।
গত ১৩ জুন ভয়াবহ পাহাড়ধসের ঘটনায় রাঙামাটি জেলায় ১২০ জন মানুষ মারা যান। আহত হন অন্তত ৮৮ জন। গৃহহীন হয়ে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। তাঁরা বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নয়।