আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রায়ই জরিমানা গুনতে হচ্ছে বাংলাদেশের শীর্ষ ক্লাবগুলোকে। যার সর্বশেষ শিকার ঢাকা আবাহনী। গত ৩১ মে ঢাকায় এএফসি কাপে কলকাতা মোহনবাগানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ফেডারেশন কাপ ও লিগ চ্যাম্পিয়নরা জিততে তো পারেইনি (১-১), উল্টো এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) ২০ হাজার ডলার জরিমানা করেছে তাদের। জরিমানার অর্থ দিতে হবে এক মাসের মধ্যে। এমন কিছু আবার হলে আরও বড় শাস্তি হবে বলে হুমকি দিয়েছে মহাদেশীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।
আন্তর্জাতিক ম্যাচে স্বাগতিক দলের মেডিকেল কক্ষে সব জরুরি এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী রাখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ওই ম্যাচে আবাহনীর মেডিকেল কক্ষে সেটির ঘাটতি ছিল। এতে এএফসি কাপের ৫২.১ ধারা ভঙ্গ হয়েছে বলে মনে করে এএফসি।
১২ জুলাই কুয়ালালামপুরে এএফসির ডিসিপ্লিনারি ও এথিকস কমিটি আবাহনীকে এই জরিমানা করেছে। জরিমানার ব্যাপারে আবাহনীর ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর ইনচার্জ কাজী নাবিল আহমেদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে আবাহনীর সহকারী কোচ অমলেশ সেন বলেছেন, এএফসি এ বিষয়ে ক্লাবকে এখনো কিছু জানায়নি। তবে জরিমানার কথা শুনে অমলেশ একটু অবাকই হয়েছেন, ‘আমরা তো অন্য দেশের ক্লাবের চেয়ে একটু বেশিই সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করি। কাজেই জরিমানা কেন করল বুঝলাম না।’
এর আগে শেখ জামাল ধানমন্ডি এএফসি কাপ খেলার আগে মালয়েশিয়ায় এএফসির সেমিনারে প্রতিনিধি পাঠায়নি। একবার ফিলিপাইনের মাঠে এএফসি কাপের ম্যাচ খেলতে গেছে নির্ধারিত সময়ের পর। ক্লাবটির বিরুদ্ধে কোচ যোসেফ আপুসির কোচিং সনদ সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগও এনেছিল এএফসি। এসব কারণে গত বছর দলটিকে ১৮ হাজার ডলার জরিমানা করে।