বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের চিরচেনা মাঠে সার বেঁধে দাঁড়িয়ে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় দলের ফুটবলাররা। সবার চোখ কয়েক হাত সামনে ওয়ালটন আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানমঞ্চের দিকে। সেখানে বক্তৃতাপর্ব শেষ করে অতিথি, পৃষ্ঠপোষক ও টুর্নামেন্টের আয়োজক কর্মকর্তারা করমর্দন করলেন খেলোয়াড়দের সঙ্গে। তারপরই বেলুন আর কবুতর উড়িয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের। সোনালী অতীত ক্লাব ও গ্রিন ইউনিভার্সিটির যৌথ আয়োজনে এই টুর্নামেন্টের মাঠের খেলা অবশ্য শুরু হয়ে গেছে ১২ জুলাই।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই ফাইনাল হবে ২৬ জুলাই। সেই ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন এঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ ফুটবলাররা মাঠের লড়াইয়ে নিজেদের তুলে ধরছেন সর্বোচ্চ সামর্থ্যে। টুর্নামেন্টের নামকরণ করা হয়েছে যাঁর নামে, সেই ফারাজ আইয়াজ হোসেন তাঁদের কাছে এক প্রেরণা। গত বছরের ১ জুলাই গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় বন্ধুর জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন ফারাজ। তাঁর বড় ভাই যারেফ আয়াত হোসেন গতকাল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে কাছে পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়েরা ফারাজকে নিয়ে জানতে চাইলেন, ছবি তুললেন।
ফারাজ ছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভক্ত। ফুটবল ছিল তাঁর প্রিয় খেলা। সেই প্রিয় ভাইয়ের নামে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন, এমন দিনে দুই খালাতো ভাই যোহেব হক ও মিখাইল হককে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আসেন যারেফ। সবার গায়ে ইউনাইটেডের লাল জার্সি। পেছনে লেখা, ‘উই আর ফারাজ।’ জার্সির নম্বর ৭। ৭ নম্বর জার্সি প্রসঙ্গে যারেফ বলেন, ‘ইউনাইটেড কিংবদন্তিদের অনেকেই ৭ নম্বর জার্সি পরতেন। এই জার্সি পরে এরিক ক্যান্টোনা, ডেভিড বেকহাম, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরা কিংবদন্তি হয়েছেন ইউনাইটেডের।’ জানালেন, ফারাজ ওয়েইন রুনিকে খুব পছন্দ করতেন। এর আগে অনুষ্ঠানমঞ্চে লিখিত বক্তব্যে আয়োজকদের ধন্যবাদ দিয়েছেন যারেফ, ‘এটা আমার পরিবারের জন্য অনেক বড় সম্মানের। একজন ফুটবল-ভক্ত হিসেবে বলতে পারি, তরুণ ফুটবল-ভক্তরা ফারাজকে স্মরণ করবে।’
‘তরুণদের একত্র করে আমাদের লড়াই হবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে’ উল্লেখ করে অংশ নেওয়া দলগুলোকেও ধন্যবাদ জানান যারেফ। হোলি আর্টিজান বেকারির সেই ভয়ংকর রাতের কথাও স্মরণ করেন, ‘ফারাজকে ছেড়ে দিয়েছিল ওরা। কিন্তু ও বন্ধুদের ছেড়ে আসতে রাজি হয়নি। তার এই আত্মত্যাগ আমাদের জন্য অনেক বড় প্রেরণা।’ ফারাজকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে তারুণ্যের শক্তির জয়গান গেয়েছেন টুর্নামেন্টের সদস্যসচিব শেখ মোহাম্মদ আসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সভাপতি সাফওয়ান সোবহান তাজভীর। বিশেষ অতিথি একই ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান মনজুর কাদের, এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান, ওয়ালটন গ্রুপের পরিচালক ইকবাল বিন আনোয়ার এবং টুর্নামেন্টের কো-স্পনসর শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শামসুদ্দোহা। টুর্নামেন্টের কো-স্পনসর হা-মীম গ্রুপও। বক্তাদের অভিমত, বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলার চর্চা বাড়িয়ে জঙ্গিবাদসহ অশুভ কাজ থেকে তরুণদের দূরে রাখতে ভূমিকা রাখবে এই টুর্নামেন্ট।
টুর্নামেন্ট উদ্বোধনের পর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আইইউবি ইউনিভার্সিটি ৩-২ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটিকে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে খেলার আনন্দ উপভোগ করার পাশাপাশি আজকাল মাঠ কমে যাওয়া নিয়ে আক্ষেপ করছিলেন ম্যাচসেরা পিয়াস। সেই আক্ষেপ দূর করতেই কিনা গ্রিন ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার লে. জেনারেল মইনুল ইসলাম তাঁর বক্তৃতায় বললেন, ‘স্টেডিয়াম চাই না, খেলার মাঠ চাই।’
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের চিরচেনা মাঠে সার বেঁধে দাঁড়িয়ে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় দলের ফুটবলাররা।সবার চোখ কয়েক হাত সামনে ওয়ালটন আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানমঞ্চের দিকে।সেখানে বক্তৃতাপর্ব শেষ করে অতিথি, পৃষ্ঠপোষক ও টুর্নামেন্টের আয়োজক কর্মকর্তারা করমর্দন করলেন খেলোয়াড়দের সঙ্গে।তারপরই বেলুন আর কবুতর উড়িয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের।সোনালী অতীত ক্লাব ও গ্রিন ইউনিভার্সিটির যৌথ আয়োজনে এই টুর্নামেন্টের মাঠের খেলা অবশ্য শুরু হয়ে গেছে ১২ জুলাই।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই ফাইনাল হবে ২৬ জুলাই।সেই ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন এঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ ফুটবলাররা মাঠের লড়াইয়ে নিজেদের তুলে ধরছেন সর্বোচ্চ সামর্থ্যে।টুর্নামেন্টের নামকরণ করা হয়েছে যাঁর নামে, সেই ফারাজ আইয়াজ হোসেন তাঁদের কাছে এক প্রেরণা।গত বছরের ১ জুলাই গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় বন্ধুর জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন ফারাজ।তাঁর বড় ভাই যারেফ আয়াত হোসেন গতকাল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।তাঁকে কাছে পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়েরা ফারাজকে নিয়ে জানতে চাইলেন, ছবি তুললেন।
ফারাজ ছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভক্ত।ফুটবল ছিল তাঁর প্রিয় খেলা।সেই প্রিয় ভাইয়ের নামে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন, এমন দিনে দুই খালাতো ভাই যোহেব হক ও মিখাইল হককে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আসেন যারেফ।সবার গায়ে ইউনাইটেডের লাল জার্সি।পেছনে লেখা, ‘উই আর ফারাজ।’ জার্সির নম্বর ৭।৭ নম্বর জার্সি প্রসঙ্গে যারেফ বলেন, ‘ইউনাইটেড কিংবদন্তিদের অনেকেই ৭ নম্বর জার্সি পরতেন।এই জার্সি পরে এরিক ক্যান্টোনা, ডেভিড বেকহাম, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরা কিংবদন্তি হয়েছেন ইউনাইটেডের।’ জানালেন, ফারাজ ওয়েইন রুনিকে খুব পছন্দ করতেন।এর আগে অনুষ্ঠানমঞ্চে লিখিত বক্তব্যে আয়োজকদের ধন্যবাদ দিয়েছেন যারেফ, ‘এটা আমার পরিবারের জন্য অনেক বড় সম্মানের।একজন ফুটবল–ভক্ত হিসেবে বলতে পারি, তরুণ ফুটবল–ভক্তরা ফারাজকে স্মরণ করবে।’
‘তরুণদের একত্র করে আমাদের লড়াই হবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে’ উল্লেখ করে অংশ নেওয়া দলগুলোকেও ধন্যবাদ জানান যারেফ।হোলি আর্টিজান বেকারির সেই ভয়ংকর রাতের কথাও স্মরণ করেন, ‘ফারাজকে ছেড়ে দিয়েছিল ওরা।কিন্তু ও বন্ধুদের ছেড়ে আসতে রাজি হয়নি।তার এই আত্মত্যাগ আমাদের জন্য অনেক বড় প্রেরণা।’ ফারাজকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে তারুণ্যের শক্তির জয়গান গেয়েছেন টুর্নামেন্টের সদস্যসচিব শেখ মোহাম্মদ আসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সভাপতি সাফওয়ান সোবহান তাজভীর।বিশেষ অতিথি একই ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান মনজুর কাদের, এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান, ওয়ালটন গ্রুপের পরিচালক ইকবাল বিন আনোয়ার এবং টুর্নামেন্টের কো–স্পনসর শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শামসুদ্দোহা।টুর্নামেন্টের কো–স্পনসর হা–মীম গ্রুপও।বক্তাদের অভিমত, বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলার চর্চা বাড়িয়ে জঙ্গিবাদসহ অশুভ কাজ থেকে তরুণদের দূরে রাখতে ভূমিকা রাখবে এই টুর্নামেন্ট।
টুর্নামেন্ট উদ্বোধনের পর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আইইউবি ইউনিভার্সিটি ৩–২ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটিকে।বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে খেলার আনন্দ উপভোগ করার পাশাপাশি আজকাল মাঠ কমে যাওয়া নিয়ে আক্ষেপ করছিলেন ম্যাচসেরা পিয়াস।সেই আক্ষেপ দূর করতেই কিনা গ্রিন ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার লে. জেনারেল মইনুল ইসলাম তাঁর বক্তৃতায় বললেন, ‘স্টেডিয়াম চাই না, খেলার মাঠ চাই।’