ঠাণ্ডার সমস্যা থেকে পরিত্রান পাবেন যে ৪টি ঘরোয়া উপায়ে

আবহাওয়া বদলের এই সময়টা তে অনেকেরই খুশখুশে কাশি অথবা সর্দিভাব দেখা দিয়ে থাকে। অনেক সময় সঠিকভাবে এবং পরিমাণে ওষুধ খেলেই ঠাণ্ডার সমস্যা কমে যায় অথবা ভালো হয়ে যায়। তবে কিছু সময়ে খুব বিশ্রীভাবে ঠাণ্ডা লাগে যা ওষুধ খেলেও ভালো হতে চায় না সহজে। সেক্ষেত্রে ঘরোয়া কিছু উপাদান ব্যবহারে খুব সহজেই ঠান্ডার সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে পারেন আপনি।

জেনে নিন চারটি দারুণ সহজ এবং উপকারী উপায়, যা আপনার ঠাণ্ডার সমস্যায় কাজ করবে দারুণভাবে।

১/ লবন পানি দিয়ে গড়গড়া করা

যদি আপনার খুব বাজেভাবে ঠাণ্ডা লাগার কারণে নাক বন্ধ হয়ে থাকে এবং প্রচণ্ড পরিমাণে কাশি হয় অথবা, আপনার বহুদিন ধরে খুশখুশে কাশির সমস্যা রয়ে যায় তবে লবণ পানি দিয়ে গড়গড়া করলে উপকার পাবেন। তবে আপনার মুখের ভেতরে এবং গলা যদি শুকনা থাকে তবে লবণ পানি দিয়ে গড়গড়া না করাই ভালো।

উপাদান:

১) আধা চা চামচ লবণ।

২) এক কাপ পানি।

নির্দেশনা:

পানি গরম করে তাতে আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন এবং এই মিশ্রণ দিয়ে ভালোভাবে গড়গড়া করুন। দ্রুত ফল পাওয়ার জন্যে প্রতি ঘন্টায় একবার করে এমন করার চেষ্টা করুন।

২/ ভিনেগার দিয়ে গড়গড়া

ঠাণ্ডা লাগার পরে আমাদের অনেক সময় এমন মনে হয় যে, গলার ভেতর কোন কিছু দলা পাকিয়ে আছে। ঢোঁক গেলার সময় যার কারণে খুব বেশী পরিমাণে সমস্যা হতে থাকে। ঠিক এমন সমস্যার সময়ে আপনার ভিনেগার দিয়ে গড়গড়া করা উচিৎ। একইসাথে গলা এবং মুখের ভেতরে শুকনা হয়ে থাকার সমস্যা আছে যাদের তারা লবণ পানি দিয়ে গড়গড়া না করে ভিনেগার দিয়েও গড়গড়া করতে পারেন।

উপাদান:

১) ১/৪ কাপ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার

২) ১/৪ কাপ গরম পানি।

নির্দেশনা:

দুইটি উপাদান একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে ১-২ টেবিল চামচ পরিমাণ মিশ্রণ নিয়ে প্রতি ঘন্টায় একবার করে গড়গড়া করতে হবে।

৩/ লাল পেঁয়াজের কাশির সিরাপ

সত্য কথা হচ্ছে, ঠান্ডা ভালো হয়ে যাবার পরে আপনি ভুলেও আর কখনোই এমন পদ্ধতি অনুসরণ করতে চাইবেন না। কিন্তু আপনার যদি বহুদিন ধরে ঠাণ্ডার সমস্যা, ক্রমাগত কাশির সমস্যা থাকে এবং বহুদিন ধরে চেষ্টা করার পরেও ভালো না হয়ে থাকে, তবে এই পদ্ধতি আপনার জন্যে সবচেয়ে দ্রুত কাজে দিবে।

উপাদান:

১) অর্ধেকটা লাল পেঁয়াজ, কুঁচি করে কাটা।

২) ১/৪ কাপ ব্রাউন চিনি।

নির্দেশনা:

দুইটি উপাদান একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে মুখবন্ধ কোন একটি পাত্রে নিয়ে ভালোভাবে মুখ বন্ধ করে সাড়া রাতের জন্য রেখে দিন। সকালে উঠে দেখবেন পেঁয়াজ এবং চিনির মিশ্রণ থেকে তরল জাতীয় পদার্থ বের হয়ে এসেছে, যা লাল পেঁয়াজের সিরাপ। এই সিরাপ এক টেবিল চামচ করে খেয়ে নিন।

৪/ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গার্লিক টোষ্ট

ঠাণ্ডা কমানোর জন্য এবং ঠাণ্ডা থেকে দূরে থাকার জন্য রসুনের তৈরি গার্লিক টোষ্ট সবচেয়ে উপকারী জিনিস। মূলত রসুন ঠাণ্ডার জন্য দায়ী ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে বলে ঠান্ডা খুব দ্রুত ভালো হয়ে যায়। তাই রসুন খাওয়ার খুব দারুণ একটি উপায় হলো গার্লিক টোষ্ট।

উপাদান:

১) এক পিস সাদা আটার পাউরুটি।

২) এক টেবিল চামচ মাখন।

৩) দুই কোয়া রসুন, কুঁচি করে কাটা।

নির্দেশনা:

টোস্টারে পাউরুটি টোষ্ট করে নিন। এরপর গরম পাউরুটির উপরে সমানভাবে মাখন এবং কুঁচি করে কাটা রসুন ছড়িয়ে দিন।